আন্টার্কটিকার বরফের নীচে থেকে কী আসছে- যা আমাদের হত্যা করতে চলেছে ?
আশঙ্কার মধ্যে একটি হ'ল এটি বায়ুমণ্ডলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মিথেন গ্যাস ছেড়ে দেবে। আশেপাশে পর্যাপ্ত অক্সিজেন রয়েছে কিনা তা নির্ভর করে এই পারমাফ্রস্টের ব্যাকটেরিয়াগুলি কার্বন ডাই অক্সাইড বা মিথেন নির্গত করতে পারে। এটি সনাতন উদ্বেগ। তবে এখন বিষয়গুলি আরও জটিল হচ্ছে। কোন ধরণের ব্যাকটিরিয়া আটকা পড়েছে এবং তাদের পুনঃপ্রবর্তন কী ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে তা বিজ্ঞানীদের খুঁজে বের করতে হবে।
2005 সালের নাসার একটি গবেষণায় গবেষকরা হিমশীতল হ্রদের নীচ থেকে 32,000 বছরের পুরানো ব্যাকটিরিয়াকে পুনরুদ্ধার করেছিলেন। এটি সবচেয়ে প্রাচীন নয়। 2007 সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছিল যে বিজ্ঞানীরা কয়েক মিলিয়ন বছর ধরে জমে থাকা ব্যাকটিরিয়াকে পুনর্জীবিত করেন । সুতরাং এটি সম্ভবত সম্ভব যে একটি প্রাচীন রোগজীবাণু যা সম্পর্কে আমাদের কোনও জ্ঞান নেই এবং উঠে পরের মহামারী হতে পারে।
আশার কথাঃ
সমুদ্রের নিচে সুগভীর পলির তলদেশে, আন্টার্কটিকা অঞ্চলে হিমবাহের নিচে মিথেন গ্যাস জমাট বেঁধে মূলত 'মিথেন হাইড্রেট' রূপে জমে আছে। হ্যাঁ, এই মিথেন কিন্তু ঠিক গ্যাসীয় অবস্থাতে নেই।বরফের মত কঠিন এই গ্যাসকে এই কারণে 'ফায়ারি আইস' বলা হয়। বিশ্ব উষ্ণায়ণে এর ভূমিকা থাকলেও বিজ্ঞানের কল্যাণে ভবিষ্যতে জ্বালানী সমস্যার সমাধানে কিন্তু এর ভান্ডারই দিশা দেখাবে এরকমই আশা রাখেন বিজ্ঞানীরা।